Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে ইউনিয়ন

কথিত আছে হিন্দু শাস্ত্রের “লক্ষী” হল ধন সম্পদের দেবী আর “ প্রাসাদ “ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল বিশাল অট্রালিকা বা রাজবাড়ি । ধারণা করা হয় উক্ত স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে লক্ষী দেবীর কোন বড় মন্দির বা প্রাসাদ ছিল । যা কালক্রমে অতল গর্ভে বিলীণ হয়ে গেছে। আবার কেউ কেউ মনে করে যে, একদা লক্ষী বাবু নামে এক ব্যক্তি অঢেল ধন সম্পদের মালিক ছিল । তার একটি বিশাল সুরম্য প্রাসাদ ছিল, এই ধারণা থেকেও লক্ষীপ্রসাদ নামটি এসে থাকতে পারে বলে অনেকেই মনে করে থাকে। সময়ের বিবর্তনের ফলে লোকমুখে উচ্চারিত প্রচলন বা সঙ্গত কারণে প্রাসাদ শব্দটি প্রসাদ হয়ে গেছে। “ প্রসাদ” শব্দের আভিধানিক অর্থ দেবতার অর্থ দেবতার নিমিত্তে উৎসর্গ করা “ নৈবদ্য” ।এমন ধারণাও কেউ কেউ পোষণ করে থাকে।


প্রাচীন যুগে বৃহত্তর সিলেট গৌড়ীয় হরিকেল রাজ্যের অন্তগর্ত থাকায় তৎকালীন হিন্দু রাজাদের শাসনামলে হিন্দু শাস্ত্রের বিভিন্ন দেব দেবীদের নামানুসারে অত্র এলাকার গ্রামগুলোর নামকরণ করা হয় বলে মতান্তরে জানা যায়। যেমন, কালীনগর, লক্ষীপ্রসাদ. কৃষ্ণপুর, বিষ্ণুপুর, দেবপুর ইত্যাদি। তৎপরবর্তীতে রাজ্যশাসন ও জমিদারী শাসন বিলুপ্তির পর লক্ষীপ্রসাদ গ্রামটি শিক্ষায়-দিক্ষায়, ঐতিহ্য ও যোগাযোগ প্রসিদ্ধ থাকার কারণে লক্ষীপ্রসাদ নামে একটি পরগনার উপস্তিতি পাওয়া যায়। পরগনায় পঞ্চায়েত শাসন ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। এইভাবে লক্ষীপ্রসাদ নামটি এসেছে বলে লোকমুখে কথিত আছে।যদিও গ্রামটি বর্তমানে ভূ-প্রাকৃতিক কারণে তার অতীত অস্তিত্ব বিলীনের পথে, তথাপি লক্ষীপ্রসাদ নামটি আজও স্বর্ণাক্ষরে ঝলমল করছে মানুষের মননে।পরবর্তীতে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের দরুন সিলেট মহকুমার অন্তর্গত কানাইঘাট থানার লক্ষীপ্রসাদ নামে একটি ইউনিয়নের আত্মপ্রকাশ ঘটে। লক্ষীপ্রসাদ গ্রামটির অবস্থান অত্র ইউনিয়নের ঠিক মধ্যবর্তী স্থানে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ের পাদদেশে থেকে নেমে আসা অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর গ্রামটির পশ্চিমে হাওর সংলগ্ন সুরইঘাট বাজার , উত্তরে নুনছড়া , পূর্বে নুনগাঙ, লোভানদী আর দক্ষিনে সুরমা নদীর ত্রিমোহনায়অ গ্রামটি নদী বেষ্টিত হওয়ায় জনগনের যাতায়ত ও মালামাল পরিবহনের সুবিধা ছিল অনেক বেশী। ফলে স্থানটির গুরুত্ব ছিল মানুষের কাছে অপরিসীমঅ ইউনিয়নটির আয়তন ছিল তুলনামুলকভাবে বেশ বড়। জনগনের সুবিধার দিক বিবেচনা করে ইউনিয়নটিকে আরো একটি নতুন ইউনিয়নে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু জনগনের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয় স্থান ও নতুন ইউনিয়নের নামকরণ নিয়ে।


মমতাজগঞ্জ নামটি নতুন ইউনিয়নের জন্য উঠে আসে। লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের অন্তর্গন্ত মমতাজগঞ্জ স্থানটি উক্ত ইউনিয়নেরে একেবারে পূর্বে সীমান্ত ঘেঁষে সুরমা নদীর পাড়ে অবস্থিত। ফলে জনগনের যাতায়াত মালামাল পরিবহনের সুবিধা বিবেচনা করে স্থানটি নিয়ে মত বিরোধ কেটে যায় । স্থান নিয়ে মতবিরোধ কেটে গেলেও নামকরণ নিয়ে সৃষ্টি হয় পক্ষ ও বিপক্ষ। এক পক্ষ মমতাজগঞ্জ নামকরণের পক্ষে , আরেক পক্ষ লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ও পশ্চিম নামকরণের পক্ষে অবস্থান নেন। সমস্যাটি প্রকট হয়ে উঠলে শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষের মতামতের দিক সুবিবেচনা করে মমতাজগঞ্জ স্থানটি ঠিক রেখে লক্ষীপ্রসাদ ইষ্ট ও ওয়েষ্ট নামে ২টি ইউনিয়নের নামকরণের পক্ষে রায় প্রদান করেন। এত উভয় পক্ষ কোন রকম অঝর আপত্তি ছাড়াই সিদ্ধান্ত মেনে নেন। ফলে নতুন ইউনিয়নের নাম হয় ১ নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব আর পূর্বের ইউনিয়নের নাম হয় ২নং লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম।


ইউনিয়নের সাধারন তথ্যাবলী

ক্রমিক বিবরণ সংখ্যা/পরিমাণ
০১ মোট আয়তন ৩১ বর্গ কি: মি:
০২ মৌজা ১৭ টি
০৩ গ্রাম ৩২ টি
০৪ জনসংখ্যা ৪১৯৯৮ জন
০৫ পুরুষ ২২৫১২ জন
০৬ নারী ১৯৪৮৬ জন
০৭  খোয়াড় ও ফেরিঘাট ৮টি ও ১২ টি
০৮ হাট বাজার ৯ টি
০৯ হাওর ৫ টি
১০ খাল ৩ টি
১১ নদ-নদী ২ টি
১২ নদী ভাঙন এলাকা ৮ টি গ্রাম
১৩ নদী বাধ নাই
১৪ উপজেলা হতে দুরত্ব (সড়ত পথে) ২০ কি: মি:
১৫ শিক্ষার হার ৭০ %
১৬ উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান/কলেজ ১ টি
১৭ মাধ্যমিক স্কুল ৫ টি
১৮ প্রাথমিক স্কুল ১৫ টি
১৯ মাদ্রাসা ১০ টি
২০ পাকা ২ কি: মি:
২১  এইচবিবি ১ কি: মি:
২২ কাচা ১৫২ কি: মি:
২৩ ব্রীজ/কালভার্ট ১৩ টি
২৪ মসজিদ ৪৫ টি
২৫ মন্দির ১০ টি
২৬ ইদগাহ ৬ টি
২৭ গোরস্থান ৫১ টি
২৮ শশ্মানঘাট ১ টি
২৯ ডাকঘর ৪ টি
৩০ আবাদি জমি ৫১০ একর
৩১ অনাদি জমি ৪০০ একর
৩২ হাসপাতাল ১ টি
৩৩ কমিউনিটি ক্লিনিক ৩ টি
৩৪ পরিবার ৫৪২৮ টি
৩৫ নির্মাণ তারিখ ১৯৮৪ সাল