কানাইঘাট উপজেলার উত্তর পূর্বে এর অবস্থান।
সিলেট শহর থেকে তিনটি সড়কে কানাইঘাট সদরে পৌঁছার সুযোগ আছে। বাস অথবা সিএনজি-অটোরিক্সায় সরাসরি দরবস্ত-চতুল হয়ে কানাইঘাট সদরে যাওয়া যায়। অন্যদিকে. গোলাপগঞ্জ-চারখাই-শাহবাগ হয়ে জকিগঞ্জ সড়ক দিয়ে কানাইঘাট পৌঁছা যাবে। এছাড়া গাজী বুরহান উদ্দিন সড়ক দিয়ে সিলেট-গাছবাড়ী সড়ক দিয়ে কানাইঘাট সদরে পৌঁছার সুযোগ রয়েছে। সিলেট শহর থেকে কানাইঘাট সদরে বাসভাড়া সর্বোচ্চ ১২০ টাকা এবং সিএনজি-অটোরিকশা ভাড়া সর্বোচ্চ ১৭০ টাকা । রিজার্ভ সিএনজি ৫শ’ ৭শ’ টাকা হবে। তিন পথেই সিএনজিযোগে যাওয়া যাবে কানাইঘাটে। কানাইঘাট উপজেলা সদর থেকে লোভাছড়ার দূরত্ব মাত্র ৯ কিলোমিটার। উপজেলা সদর থেকে সড়ক ও নদী পথে লোভাছড়ায় যাওয়া যায়। লোভাছড়ায় যাতায়াতের রাস্তাটির অর্ধেকের চেয়ে বেশি কাঁচা হওয়ায় খুবই কষ্ট করে সেখানে পৌঁছাতে হয়। তাই নদী পথে লোভাছড়ায় যাওয়াই সহজ রাস্তা।
রুহুল আমিন - ০১৭৩৮০৪২৯৫৫
মোস্তফা কামাল - ০১৭১৩৮০৫৬৯৭
জাবের আহমদ - ০১৩০৭২২৮৭১১
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত এলাকায় ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি লোভাছড়া। সেখানে মেঘ-পাহাড়ের লীলা আর স্বচ্ছ পাথুরে লোভাছড়া নদীর সৌন্দর্যে বিমোহিত হতে হয় পর্যটকদের। লোভাছড়ায় আছে পাহাড়-নদী ঘেঁষা বহু পুরানো একটি চা বাগান। চা বাগানের পাশে রয়েছে একটি ঝুলন্ত ব্রিজ।লোভাছড়ার শাখা নদী নুনগাঙের বাড়-বাড়ন্ত জল প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে লোহা নির্মিত লালরঙা ব্রিজটিকে। ব্রিজের একপাশে লোভাছড়া চা বাগান অন্য পাশে অরন্য।রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজের মতো লোভাছড়া ঝুলন্ত ব্রিজটি দেখেও বিস্মিত হতে হয়। বিস্ময় আরও বেড়ে যায় যখন দেখি ব্রিজটির গায়ে খোদাই করে লেখা ব্রিজটির নির্মাণ কাল। ব্রিজটি নির্মিত হয়েছে ১৯২৫ সালের এপ্রিল মাসে!মালামাল পারাপারে এর সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ৩ টন তাও লেখা আছে নামফলকে। চোখের অদূরে মেঘালয়ের খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়, হাতের একপাশে টিলা আর চা বাগান অন্যপাশে বন পেরিয়ে নদী বেয়ে যেতে যেতে হঠাৎ দেখা ব্রিজ মনে বিস্ময় জাগাবে সেই তো স্বাভাবিক।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস